সকাল ৯টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জেএসসি-জেডিসির ফল তুলে দেবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীর ফল হস্তান্তর করবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা জানান, সকাল সাড়ে ১১টায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ফল প্রকাশ করবেন।
আর গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান দুপুর সাড়ে ১২টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানান মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ রায়।
সংবাদ সম্মেলনের পর পরই শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইটে (www.educationboardresults.gov.bd) জেএসসি-জেডিসি এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (www.dpe.gov.bd) ও টেলিটক মোবাইলের ওয়েবসাইটে (http://dpe.teletalk.com.bd) ফল পাওয়া যাবে।
এছাড়াও মোবাইলে এসএমএস করে ফল পাবেন শিক্ষার্থীরা।
প্রাথমিক সমাপনীর জন্য যে কোনো মোবাইল ফোন থেকে DPE লিখে স্পেস দিয়ে থানা/উপজেলার কোড নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৪ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়েও ফল জানা যাবে।
ইবতেদায়ীর ফল পেতে EBT লিখে স্পেস দিয়ে থানা/উপজেলার কোড নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৪ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।
জেএসসি-জেডিসির জন্য যে কোনো মোবাইল থেকে JSC/JDC লিখে স্পেস দিয়ে নিজ বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৪ লিখতে এসএমএস করলে ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।
জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় এবার ২০ লাখ ৯০ হাজার ৬৯২ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে জেএসসিতে ১৭ লাখ ৬৪ হাজার ৫৯৫ জন এবং জেডিসিতে ৩ লাখ ২৬ হাজার ৯৭ জন।
গত ২ নভেম্বর থেকে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও জামায়াতের হরতালের কারণে তা ৭ নভেম্বর থেকে শুরু করা হয়। হরতালের কারণে জেএসসি-জেডিসির ৪ দিনের পরীক্ষা পিছিয়ে যায়। ১৮ নভেম্বর এই পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০ নভেম্বর তা শেষ হয়।
আর প্রাথমিক সমাপনীতে ২৭ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪৪ জন ও ইবতেদায়িতে ৩ লাখ ১১ হাজার ২৬৫ জনসহ মোট ৩০ লাখ ৯৯ হাজার ৮০৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। গত ২৩ নভেম্বর শুরু হয়ে ৩০ নভেম্বর শেষ হয় এই পরীক্ষা।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়। আর ইবতেদায়িতে এই পরীক্ষা শুরু হয় ২০১০ সালে। প্রথম দুই বছর বিভাগভিত্তিক ফল দেওয়া হলেও ২০১১ সাল থেকে গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফল দেওয়া হচ্ছে। গত বছর থেকে এই পরীক্ষার সময় আধা ঘণ্টা বাড়িয়ে আড়াই ঘণ্টা করা হয়।